২৮৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা গঠিত। অত্র থানায় ১১ টি ইউনিয়ন ও ০১ টি পৌরসভা আছে। জনসংখ্যা ৫,২৩,৫২০ জন। ইংরেজ শাসন আমলে এই থানার নাম ছিল পিতলগঞ্জ। ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী কাঁচামাটিয়ার দুপাশে ঈশ্বরগঞ্জ থানা এলাকাটি অবস্থিত। ইংরেজ শাসন আমলে উক্ত কাঁচামাটিয়া নদীর খেয়া মাঝির নাম ছিল ঈশ্বরগঞ্জ পাটনী ব্রিটিশ নীলকরা এই জনপথে জোরপূর্বক নীল চাষ করানোর জন্য এলাকার নিরীহ কৃষকদেরকে অত্যাচার নির্যাতন করত। তারা এখানে নীলকুটির স্থাপন করেছিল। ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে এলাকার কোন মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পায় নাই। ঈশ্বরগঞ্জ পাটনী একদিন ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে পিতলগঞ্জ বাজারে আসিয়া নৌকার বৈঠা দিয়া এক ইংরেজ সাহেবকে মাথায় আঘাত করে। আঘাত করিলে উক্ত ইংরেজ মারা যায়। তারপর থেকে খেয়া মাঝি ঈশ্বরগঞ্জ পাটনী পিতলগঞ্জ এলাকা ছেড়ে ভয়ে অজ্ঞাতস্থানে আত্নগোপন করে। তার আর কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। ঈশ্বরগঞ্জ থানা এলাকাটি গৌরিপুর এর জমিদারের পরগনা ছিল। খেয়া মাঝি ঈশ্বরগঞ্জ পাটনী উক্তরুপ বিরোচিত কর্মকান্ডের জন্য তৎকালীন জমিদার বজেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী ঈশ্বরগঞ্জ পাটনীর নামানুসারে পিতলগঞ্জ নাম বাদ দিয়ে অত্র এলাকার নাম ঈশ্বরগঞ্জ রাখেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধে এই থানা এলাকায় রয়েছে একটি গৌরবপূর্ণ ইতিহাস। ০৯ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ ত্যাগ করে। উক্ত যুদ্ধে ০৭ (সাত) মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় মোট ১৫৬ টি মসজিদ, ২৯ টি মাদ্রসা, ১৩৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৬ টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩ টি কলেজ, ০৪ টি বেসরকারি এতিমখানা ও ১২ টি মন্দির রয়েছে।।
উপজেলার মোট আয়তন ২৮৬.১৯ বর্গ কিলোমিটার। এটি ১টি থানা, ১টি পৌরসভা, ৯টি ওয়ার্ড, ১৩টি মহল্লা, ১১টি ইউনিয়ন, ২৯৩টি মৌজা, ২৯১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। প্রাকৃতিক সম্পদ বালু মহল ১টি, আয়তন ৯.৫৬ একর। ২০২১ সনের আদম শুমারী অনুযায়ী জনসংখ্যা ৫,২৩,৫২০ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ২,২৭,৫৬২ জন ও নারী ২৯৫,৯৫৮ জন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS